Descripción
গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা পুরনো বটগাছের নিচে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে থাকত অর্ণব। ওর চোখে এক অদ্ভুত শূন্যতা। গ্রামে সবাই জানত—অর্ণব একসময় অনেক প্রাণবন্ত ছেলে ছিল। কিন্তু এক বছর আগে ওর ছোট ভাই নদীতে ডুবে মারা যাওয়ার পর থেকেই অর্ণবের ভেতরের আলো যেন নিভে গেছে। একদিন বটগাছের নিচে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ সে শুনল—কেউ যেন মৃদু কণ্ঠে গান গাইছে। চমকে উঠে তাকাতেই দেখল, তার ভাইয়ের বয়সী এক ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। অর্ণব অবাক হয়ে বলল, —তুমি কে? ছেলেটি হেসে বলল, —আমি আলো খুঁজতে এসেছি। অর্ণব বিস্মিত হয়ে শুনতে থাকল। ছেলেটি বলল, —যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি নিজের হৃদয়ে আলো খুঁজে না পাও, তোমার চারপাশ অন্ধকারই লাগবে। অর্ণবের চোখে জল চলে এল। সে বুঝতে পারল, তার ভাই আর ফিরে আসবে না, কিন্তু তার ভাইয়ের স্মৃতিই আসলে আলো। তাকে বাঁচতে হবে, নতুন করে শুরু করতে হবে। সেদিনের পর থেকে অর্ণব আর বটগাছের নিচে একা বসে থাকত না। সে গ্রামের শিশুদের পড়াতে শুরু করল, হাসিখুশি হয়ে সবার সঙ্গে মিশতে লাগল। আর মানুষ বলত—
